১৯৩৭ সালে বই আকারে বের হয় “দি হবিট”। বইটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে পরবর্তী বইয়ের অনুরোধ আসতে শুরু করলো। এভাবেই তৈরি করে ফেললেন “মিডল-আর্থ” নামে এক কল্পজগৎ আর লেখনি দিয়ে নিশ্চিত করলেন সেই জগতে তার পাঠকদের বিচরণ। এই ইউনিভার্সের “লর্ড অফ দি রিংস ট্রিলোজি” হয়ে গেল Worlds best fantasy. আর সাহিত্যের জগতে টোকিন হয়ে গেল চিরপরিচিত নাম।
১৮৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার আর্থা্র-ম্যাবেল দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া জন রোনাল্ড রুয়েল টোকিন যেন ছোটবেলা থেকেই তার প্রতিভার জানান দিচ্ছিলেন। মাত্র চার বছর বয়সেই অনর্গল পড়তে ও লিখতে পারতেন টোকিন। বইপড়া, ভাষাশিক্ষার পাশাপাশি উদ্ভিতত্ত্ব আর আঁকাআঁকি নিয়েও তার আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। ভাষাতত্ত্ববিদ হিসেবেও রয়েছে তার সুনাম। মায়ের থেকে ফ্রেঞ্চ, জার্মান, লাতিনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বেশকিছু ভাষা আয়ত্ত্ব করেন তিনি। চাকরিজীবনে ইংরেজি ভাষা নিয়ে কাজ করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। টোকিন শুধুমাত্র মিডল-আর্থ ইউনিভার্সের জন্যই ১৪ টি ভাষা এবং তার বর্ণমালা তৈরি করেছেন। ধর্মানুগত এই ক্যাথলিক লেখক যে শুধুমাত্র লেখক বা ভাষাতত্ত্ববিদ হিসেবেই পরিচিত তা নয়, স্টোরিটেলার হিসেবেও নামডাক কুড়িয়েছেন। বাবা হিসেবে তিনি অসাধারণসব কাজ করতেন- বাচ্চাদের শোনানোর জন্য গল্প লেখা, বাচ্চাদের খুশি করতে ক্রিস্টমাস ডে-তে স্যান্টা ক্লজ হয়ে চিঠি পাঠানো।
স্ত্রীর প্রতি তার অস্বাভাবিক ভালোবাসার জন্যই ১৯৭৩ সালে তার স্ত্রীর মৃত্যুর দুই বছর পরে তার মৃত্যু হলে একই সমাধিতে সামাধিস্থ করা হয় তাকে।
-
দি লর্ড অফ দ্য রিংস: দি ফেলোশিপ অফ দ্য রিং (বুক ১)
কিছু বই লেখা হয় দ্রুত পড়ে শেষ করে ফেলার জন্য। আবার কিছু কিছু বই আছে যেগুলো পড়তে হয় ধীরে, স্বাদ নিতে নিতে। ‘দি লর্ড অফ দ্য রিংস’ দ্বিতীয় ক্যাটেগরির। কিছু বই একবার পড়ার জন্য আর কিছু বই বারবার পড়তে হয়। এবারও ‘দি লর্ড অফ দ্য রিংস’ দ্বিতীয় ক্যাটাগরির। জে. আর. আর. টোলকিন’র কালজয়ী সৃষ্টি। এই দ্বিতীয় ক্যাটাগরির বইগুলোর একটা সাধারণ বিশেষত্ব হল, এগুলো আপনি যতবারই পড়বেন ততবারই এগুলোর নতুন নতুন সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। যত গভীরে যাবেন নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হতে থাকবে।
৳ 400